get error get error
ইসলামী যিন্দেগী এ্যাপের নতুন আপডেট এসেছে। আমরা যারা মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী, আমরা সবাই ইসলামী যিন্দেগী এ্যাপটি আপডেট করে নেই।
ইসলামী যিন্দেগী এ্যাপ ব্যবহারকারীদের সকলকে জানানো যাচ্ছে যে, অনেক লম্বা সময় ধরে আমাদের ২টি ওয়েবসাইটই হ্যাক হচ্ছিল। ফলে আমাদের ব্যবহারকারীরা ঠিকমতো কিতাব, প্রবন্ধ ডাউনলোড করতে, পড়তে এবং বয়ান ডাউনলোড করতে, শুনতে অসুবিধা বোধ করছিল। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের সমস্যা হচ্ছিল। ফলে ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য এবং হ্যাকারদের থেকে আরো বেশী নিরাপদে থাকার জন্য আমরা আমাদের এ্যাপটি আপডেট করেছি।
আলহামদুলিল্লাহ, বর্তমান আপডেটে অনেক নতুন দীনী প্রয়োজনীয় জিনিস সংযোগ করা হয়েছে যা যে কোন দীনদার ব্যবহারকারীর জন্য আনন্দের বিষয় হবে বলে আশা করি।
যেহেতু আমরা সম্পূর্ণ নতুনভাবে কাজ করেছি তাই এ্যাপটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে আপনাদের সমস্যা মনে হতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে তা আগের চেয়ে আরো সহজ মনে হবে ইনশাআল্লাহ। আর আমরা এখন পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছি তাই আপনাদের নজরে কোন ভুল বা অসঙ্গতি নজরে পড়লে আমাদের উপর নারাজ না হয়ে সুপরামর্শ দেয়ার বিশেষ আবেদন রইলো।
পরামর্শ দেয়ার ঠিকানা: islamijindegi@gmail.com
এতোদিন আমরা ২টি ওয়েবসাইট চালিয়েছি www.darsemansoor.com এবং www.islamijindegi.com আমরা এই দুটি ওয়েবসাইটের সমস্ত তথ্য সহ আরো অনেক জিনিস নতুন সংযোগ করে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করেছি। সবাইকে উক্ত ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
www.islamidars.com
লেখক: মুফতী মনসূরুল হক দা.বা. বিভাগ : বই ও আর্টিকেল তারিখ : ২৬-মার্চ-২০১৭
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন- আল্লাহ তা‘আলার (ঘর) মসজিদ আবাদ তারাই করবে, যারা আল্লাহ তা‘আলা ও পরকালের উপর ঈমান আনে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে এবং আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কাউকেই ভয় করে না। তাদের ব্যাপারে আশা করা যায়, এরা হেদায়াত প্রাপ্ত বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত হবে। (সূরায়ে তাওবা আয়াত নং ১৮)
মসজিদ হল হেদায়াতের মারকায । কোন এলাকার মসজিদ যদি পুরাপুরী শরী‘আত মুতাবেক পরিচালিত হয় তাহলে পুরা এলাকায় এক দীনী হাওয়া বিরাজ করবে। বরং ধীরে ধীরে তার আলোকে উক্ত এলাকা তথা পুরা দেশ থেকে অন্ধকার দূরীভূত হয়ে ইসলামের শাশ্বত বিধান প্রতিষ্ঠিত হবে। মসজিদে নববী তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
মসজিদে নববীর মসজিদ কেন্দ্রীক মেহনতের উসীলায় শুধু মদীনা নয় গোটা আরবের সেই বরবর জাতিও স্বর্ণ মানবে পরিণত হয়ে ছিল।
দুঃখের বিষয় হল বর্তমানে পূর্বের তুলনায় মসজিদ তো বেশী হচ্ছে এবং শানদারও হচ্ছে। কিন্তু হেদায়াত দিন দিন বিদায় নিতে চলছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চির সত্য বাণী আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে, ইরশাদ করেনঃ অচিরেই মানুষের মাঝে এমন একটি যুগ আসবে যখন ইসলাম বলতে থাকবে শুধু নাম, আর কুরআন বলতে থাকবে কিছু প্রথা। ঐ সময়কার মসজিদগুরো তো হবে বড় শানদার। কিন্তু তা হবে হেদায়াত শূন্য। (বাইহাকী শুয়াবুল ঈমান, হাঃ নং ৩/১৭৬৩)
তাই হেদায়াত শূন্য মসজিদগুলোকে হেদায়াত ওয়ালা বানানো মুসলিম উম্মাহর উপর বিরাট এক যিম্মাদারী। এজন্য মুহিউস সুন্নাহ হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক (রাহ.) বলতেন যেঃ তোমরা মসজিদ ও মাদরাসাকে সুন্নী বানাও তাহলে পুরা মহল্লা সুন্নী হয়ে যাবে।
উক্ত যিম্মাদারী পালনে আলহা্মদুলিল্লাহ অতীত ও বর্তমানের অনেক উলামায়ে কিরাম এগিয়ে এসেছেন। আলোচ্য গ্রন্থখানা সে ধারাবাহিকতারই এক শর‘ঈ রূপ রেখা
আমরা আশা করব বইয়ের এ কথাগুলো যদি প্রত্যেকটি মসজিদে বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে আমাদের সমাজে আবারো সেই মসজিদে নববীর সেই হেদায়াত ফিরে আসবে।
আল্লাহ তা‘আলা লেখক-পাঠক সবাইকে কবুল করুন। আমীন।